কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
২৭ মে ২০২২ ০৩:৪৮
প্রতীকী ছবি
মহামারীর সময় ভার্চুয়াল শিক্ষাকার্যক্রমে
অংশগ্রহণকারী কোটি কোটি শিশুর তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া
গেছে। এসব অ্যাপ যারা বানিয়েছে, মূলত তারাই ফেসবুক ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছে
এসব তথ্য ‘পাচার’ করেছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচের’ অনুসন্ধানে
বিষয়টি উঠে এসেছে। ২০২১ সালের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই অনুসন্ধান চালায় সংস্থাটি।
এতে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি পাঠদানবিষয়ক বিভিন্ন অ্যাপ ও অনলাইন টুলসের ভূমিকা
খতিয়ে দেখা হয়েছে। বিশ্বের ৪৯টি দেশের ১৬৪টি
অ্যাপ ও টুলসের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’।
এতে দেখা যায়, ১৪৬টি অ্যাপস কিংবা টুলস (৮৯
শতাংশ) শিশুদের তথ্য সংগ্রহ করেছে, যা শিশুদের অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এসব
ক্ষেত্রে শিশু-শিক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে কোনো সম্মতিও নেওয়া হয়নি।
এসব অ্যাপের মাধ্যমে শিশুদের পরিচয়, অবস্থান, তাদের অনলাইন কার্যক্রম, আচরণ এমনকি
তাদের পরিবার ও বন্ধুদের অনেক তথ্যও হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের শিশু অধিকার ও প্রযুক্তি
গবেষক হাই জং হান সিএনএনকে বলেন, ‘শিশু, তাদের মা-বাবা এবং শিক্ষকদের বেশির ভাগই তথ্য
হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অন্ধাকারে ছিলেন। আর যারা বুঝতে পারতেন, তাদের হাতে বিকল্প কোনো
উপায়ও ছিল না। শিশুদের সামনে দুটি পথ ছিল। হয় ব্যক্তিগত তথ্যের বিনিময়ে এসব অ্যাপ ব্যবহার
করতে হবে, নইলে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকতে হবে।’ হান আরও বলেন, ‘এসব অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট
শিশুদের বিভিন্ন তথ্য তুলে দিচ্ছে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করা প্রতিষ্ঠান
গুগল কিংবা ফেসবুকের হাতে।’
ফেসবুক পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘মেটা’র এক
মুখপাত্র বলেন, কিভাবে শিশুদের তথ্য আদান-প্রদান করা হবে কিংবা বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে
তুলে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে তাদের নীতিমালা রয়েছে। তারা এই নীতিমালা মেনে চলার ক্ষেত্রে
খুবই কঠোর।
অন্যদিকে গুগলের এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন,
‘আমরা অভিযোগের বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে দেখব। এ ক্ষেত্রে কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা
লঙ্ঘন হলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সূত্র: সিএনএন
জেডএস/কেএ