নাজমুল ইসলাম

বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোর


১৬ জুন ২০২৩ ০২:৫০



চাকরি ছেড়ে খামার করে সফল ইয়াকুব

নাজমুল ইসলাম, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর

১৬ জুন ২০২৩ ০২:৫০

চাকরি ছেড়ে খামার করে সফল ইয়াকুব

ছবি : বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর

ইয়াকুব রিফাত ও ইসমাইল রাদিফ পৃথক দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেষ করেন গ্র্যাজুয়েশন। এরপর ইয়াকুব একটি বেসরকারি চাকরিতে যোগ দেন। পরে সেই চাকরি ছেড়ে পারি দেন ইউরোপের দেশ ইতালিতে। সেখান অবস্থানকালে তিনি পরিকল্পনা করেন গরুর খামার করার। তারপর ইতালি থাকা অবস্থায় ভাই ইসমাইলের সহায়তায় রাজধানীর মান্ডার ঝিলপাড় এলাকায় ২০২০ সালে গড়ে তোলেন ‘সবুজ বাংলা অ্যাগ্রো’। ১৫টি থেকে এখন তার খামারে গরুর সংখ্যা শতাধিক। এটি এখন একটি ব্যবসা সফল উদ্যোগ।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তরুণ উদ্যোক্তা ইয়াকুব রিফাত বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, কোনো প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই ইউটিউবের ভিডিও দেখে গড়ে তুলেছেন খামারটি। পাশাপাশি নিজেদের জমি আর পুঁজি এখানে বিনিয়োগ করেছেন, যা করতে ‍গিয়ে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের নানা কটু কথাও শুনতে হয়েছে তাদের।

প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে প্রতিবছর ৭০ হাজার করে নতুন গবাদিপশুর খামার গড়ে উঠছে। মূলত, কোরবানির হাট ও দুধ বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে এসব খামার গড়ে তুলছেন উদ্যোক্তারা। এসব উদ্যোক্তাদের মধ্যে বেশি ভাগই শিক্ষিত তরুণ। এসব খামারে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থেকে শুরু করে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্র ও প্রযুক্তি।

সবুজ বাংলা অ্যাগ্রো খামারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক বেকার যুবকের। আর এ খামারে কাজ করতে পেরে খুশি কর্মীরা। খামারের কর্মী ইলিয়াস হোসেন জানান, এখানে শুরু থেকেই আমি কাজ করছি। এখানে কাজ করতে অনেক ভালো লাগে। এখানকার প্রতিটি গরুকে নিজের মতো করে লালন পালন করছি। আর মালিক পক্ষও আমাদের অনেক সহযোগিতা করে।

ইয়াকুব রিফাত জানান, খামারের গরুকে কোনো প্রকার মোটাতাজাকরণ ওষুধ না খাইয়ে সরাসরি সবুজ ঘাস ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। পাশাপাশি প্রতিদিন একবার করে খাওয়ানো হয় সবজি খিচুড়ি। তিনি জানান, পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র ২ সপ্তাহ বাকি। ইতিমধ্যে তার ৫০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়ে গেছে।

‍শুধু সবুজ বাংলা অ্যাগ্রো নয়, রাজধানীর আরও বেশ কিছু এলাকায় বিশেষ করে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, বছিলা, কেরানীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া থেকে শুরু করে গাজীপুর হয়ে ময়মনসিংহ পর্যন্ত গরুর খামার বিস্তৃত হচ্ছে। এসব উদ্যোক্তার মধ্যে থেকে কমপক্ষে ১০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কোরবানির ঈদে এসব উন্নত খামার থেকে প্রায় সাত হাজার গরু বিক্রি হয়েছে।

এবি/এইচআই