কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
০১ জুন ২০২২ ০৪:৪৪
প্রতীকী ছবি
পৃথিবীতে প্রতিবছর প্রায় ৯০ লাখ মানুষ দূষণজনিত কারণে মারা
যায় বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের বিজ্ঞানীদের করা এ
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে এসে বায়ু কিংবা পানি দূষণের
মতো কারণে মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে অন্তত ৭ শতাংশ।
সম্প্রতি গবেষণা প্রতিবেনটি ছাপা হয়
বিজ্ঞানবিষয়ক ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ’ সাময়িকীতে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে
প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু (প্রায় ১৬ শতাংশ) সরাসরি দূষণের কারণে হয়। অর্থাৎ, দূষণের প্রত্যক্ষ প্রভাবে সৃষ্ট রোগে
এসব মানুষের মৃত্যু হয়। বিজ্ঞানীরা হিসাব কষে দেখেছেন, এই সংখ্যা এইডস, যক্ষ্মা এবং ম্যালেরিয়ায়ঘটিত মৃত্যুর চেয়ে অন্তত তিন গুণ বেশি।
গবেষণায় উঠে এসেছে, দূষণজনিত মৃত্যুর
সিংহভাগ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে থাকে। একই ধরনের একটি গবেষণা প্রতিবেদন
ছাপা হয় ২০১৭ সালে। এ কারণে এবারের প্রতিবেদনকে ‘দ্বিতীয় সংস্করণ’ বলছেন গবেষকরা। আগের
গবেষণাতেও প্রতিবছর মৃত্যুর হার প্রায় একই রকম ছিল। তবে ২০১৫ সালে মৃত্যুর হার এখনকার
চেয়ে ৭ শতাংশ কম ছিল।
সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, এই ৯০ লাখ মৃত্যুর বেশির ভাগই বায়ু
দূষণের কারণে। প্রতিবছর বায়ু দূষণে প্রায় ৬৫ লাখ মানুষের মৃত্যু
হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ দূষিত বায়ুতে নিশ্বাস নেন।
বাংলাদেশের বায়ুও অনেক দূষিত। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়
ঢাকার নাম প্রায়ই সবার উপরে থাকে। বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয়
দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) সর্বশেষ গবেষণা বলছে, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৪ জেলারই
বায়ুর মান আদর্শ মাত্রার চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আদর্শ মাত্রার মধ্যে আছে মাত্র
১০টি জেলার বায়ুর মান। আর অতিরিক্ত দূষিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১৮টি জেলাকে।
সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ হয় গাজীপুরে; এরপরেই রয়েছে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ। সর্বনিম্ন বায়ুদূষণ
পরিমাপ করা হয়েছে মাদারীপুর, পটুয়াখালী ও মেহেরপুরে।
সূত্র : ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম, নেশন,
বিবিসি
সিভি/কেএ