ডেস্ক রিপোর্ট, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:৫৯
ছবি: সংগৃহীত
কানাডার
বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিল ভারত। এক জ্যেষ্ঠ কানাডীয় কূটনীতিককে ভারত ছেড়ে যাওয়ার
নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিক
বহিষ্কারের কয়েক ঘণ্টা পরেই এলো নয়াদিল্লির এই ঘোষণা। এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের
আরও অবনতি হলো।
মঙ্গলবার
(১৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ
বিষয়ে কানাডিয়ান কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপ এবং ভারতবিরোধী কার্যকলাপে তাদের সম্পৃক্ততার
ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ’
প্রতিফলিত করেছে। তাই নয়াদিল্লি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন থেকে দেশে
ফেরার পরই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সংক্রান্ত আলোচনা স্থগিত করা হয়। সেই সঙ্গে
বাতিল করা হয় কানাডার বাণিজ্যমন্ত্রী মেরি এনজির অক্টোবরের ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য মিশন।
এর মধ্যেই কানাডায় এক মন্দিরে শিখ নেতা নিহত হওয়ার জের ধরে দেশটি থেকে ভারতীয় এক কূটনীতিককে
বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত কূটনীতিক ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট বলে অভিযোগ
করা হয়েছে।
কানাডা শিখ
নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভারতের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা নিয়ে তদন্ত করবে বলে প্রধানমন্ত্রী
জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রুডো সোমবার
রাতে পার্লামেন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, কানাডার মাটিতে কানাডার কোনো নাগরিককে হত্যায়
কোনো বিদেশি সরকারের সম্পৃক্ততা অগ্রহণযোগ্য এবং আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।
তিনি বলেন,
কানাডার নিরাপত্তা সংস্থাগুলো চলতি বছরের জুনে শিখ-কানাডিয়ান নেতা নিহতের সঙ্গে ভারত
সরকারের এজেন্টদের সম্পৃক্ততার নিয়ে তদন্ত করছে।
হরদীপ সিং
নিজ্জর ১৮ জুন সারের একটি শিখ মন্দিরে গুলিতে নিহত হন। ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের ওই
ঘটনায় ব্যাপক প্রশ্ন ও নিন্দার সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে
কানাডার।
এসএ/