মৌলভীবাজার প্রতিনিধি, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:২৪
ছবি : বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে জিন বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরীর উদ্ভাবন এক রোপনে পাঁচ বার ফলন দেওয়া পঞ্চব্রীহি ধানের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষার্থী ও ২ শিক্ষক।
আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর গ্রামে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক ও একজন সহকারী অধ্যাপকসহ মোট ২০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয়।
শুরতে বিশিষ্ট জিন বিজ্ঞানি আবেদ চৌধুরী নিজে তার বাড়িতে রাখা পঞ্চব্রীহি ধানের মডেল দেখিয়ে কিভাবে এ ধান চাষাবাদ, ফসল পরিচর্যা ও কাটা এবং ফলন সম্পর্কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থাপন করেন। এরপর শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের এ ধান সম্পর্কে নানা প্রশ্নের জবাব দেন আবেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বছরে বোরো মৌসুমে প্রথমবার রোপনের ১১০ দিন থেকে ১২০ দিনে ফসল কাটা হয়। পরবর্তী সময়ে ৪৫ দিন পর দুইবার (৯০ দিনে) আউশে এ ধানের ফলন হয়। এরপর আমনের সময় আরও ২ বার ফলন পাওয়া যায়।
পরে সরেজমিনে
জমিতে রোপনকৃত পঞ্চব্রীহি পাঁচ ফলন দেখে মুগ্ধ হন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ একটি বিরাট হুমকি। আমরা যদি পতিত ও কৃষি
জমিতে সারাবছরের জন্য পঞ্চব্রীহি ধান লাগাতে পারি, তাহলে তা বায়ুমন্ডলের গ্রীণ হাউস
গ্যাস শোষণ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ মোকাবেলায় বিরাট সহযোগিতা করবে।’
টিলাগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক বলেন, ‘আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান আবেদ চৌধুরীকে। উনার এই উদ্ভাবন আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা স্বপ্ন দেখি খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণ হবে। এখানে সবাই বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এসেছেন। আজকে এই শিক্ষাসফর শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে বিজ্ঞান শেখায় আগ্রহী করে তুলবে।’
বিডিওএসএন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরীক্ষামূলকভাবে উক্ত এলাকায় এ পর্যন্ত বোরো মৌসুমের একবার ফসল উত্তোলন করা হয়েছে এবং একই চারা হতে এ বছরের চতুর্থবারের ফসল উৎপাদন চলছে।
আবেদ চৌধুরী ও সাবেক সচিব এন আই খান বলেন, উষ্ণনায়ন ও পরিবেশের বিরাট পরিবর্তনের কারণে আগামী ১০ বছরে খাদ্য উৎপাদন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সে ভাবনায় পঞ্চব্রীহি ধানের চাষাবাদ কাজে আসবে। এটি এখন পরীক্ষামূলক আছে। আগামীতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে সরকারি সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে হবে।
জেডএস/