নিজস্ব প্রতিবেদক, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
০৬ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৪৬
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানী
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তার ও ট্রান্সফর্মার চুরির
ঘটনা ঘটছে। এর পেছনে জড়িত মূলহোতাকে গ্রেপ্তা শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফকে (৩৫) গ্রেপ্তার
করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তিনি পেশায় বিদ্যুতের বিভিন্ন প্রকল্পের
সাব কন্ট্রাক্টর।
গতকাল বুধবার
(৫ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা
হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার
(৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টোরোডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি গোয়েন্দা
পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন,
বর্তমানে আমাদের দেশে বিদ্যুতের সংকট চলছে। এরই মধ্যে একটি চক্র বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ
যন্ত্রাংশ চুরি করছে। এমন তথ্যে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের সংঘবদ্ধ
অপরাধ, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে বৈদ্যুতিক তার,
যন্ত্রাংশ ও ট্রান্সফর্মার চুরি চক্রের মূলহোতা শরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় শরিফুল
ইসলামের কাছ থেকে ৮টি সার্কিট ব্রেকার, ১২টি ডিস্ক ইন্সুলেটর, ১০টি টেনসন ক্লাম্প,
১০ টি পোস্ট ইনসুলেটর, ২টি ড্রাব কাট-আউট, ১টি সাইড মাউন্ট ব্রাকেট ও ৪টি সেকল ইনসুলেটর
উদ্ধার করা হয়।
শরিফের বরাত
দিয়ে ডিএমপি গোয়েন্দা প্রধান বলেন, শরিফ বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার সাব-কন্ট্রাক্টর
হিসেব ঠিকাদারি কাজ করতো। আর এই কাজরে সূত্র ধরে শরিফের সঙ্গে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার
এবং ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ চোর চক্রের সদস্যদের
পরিচয় গড়ে ওঠে।
এই চক্রের
সদস্যরা দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বৈদ্যুতিক সংযোগের যন্ত্রপাতি চুরি করে এনে শরিফের
কাছে বিক্রি করতো। শফিফ চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ও ওভারহেড
বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগে ব্যবহৃত চোরাই বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ অল্প টাকায় কিনে জমা রাখতো।
পরবর্তীতে
শরিফ এই সব চোরাই যন্ত্রপাতি বিভিন্ন অবৈধ সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতো। এর
মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো শরিফ।
শরিফের কাছ
থেকে উদ্ধার হওয়া যন্ত্রপাতির বাজার মূল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে গোয়েন্দা প্রধান বলেন,
তার কাছ থেকে অনেকগুলো যন্ত্রপাতি উদ্ধার হয়েছে। এগুলোর বাজার দর জানতে সময় লাগবে।
এগুলো সাধারণত বাজারে পাওয়া যায় না।
এলআই/এআর/