কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
২৫ এপ্রিল ২০২২
শুধু বাংলাদেশ নয়,
মূল্যস্ফীতিতে ভুগছে পুরো বিশ্ব। করোনা মহামারি, জ্বালানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে
প্রতিনিয়ত। গরিব রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে
গেছে ধনী অর্থনীতিও।
‘অর্গানাইজেশন ফর
ইকোনমিক করপোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ (ওইসিডি) বিশ্বের ধনী ৩৮ দেশের একটি
অর্থনৈতিক জোট। ওইসিডির হিসাব বলছে, গত জানুয়ারিতে জোটভুক্ত দেশগুলোর গড়
মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পরে সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে জি-টোয়েন্টি ও
জি-সেভেন জোটের দেশগুলোতে গত জানুয়ারিতে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ৫
শতাংশ এবং ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি তুরস্কে। দেশটিতে বছরের প্রথম
মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ন্যূনতম বেতন
৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়কের টোল ও বাস ভাড়াও।
জিনিসপত্রের দাম
নজিরবিহীন বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রেও। গত জানুয়ারিতে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ৭
শতাংশ, যা ১৯৮২ সালের পরে সর্বোচ্চ। এই মূল্যস্ফীতির পেছনে খাদ্য ও জ্বালানি
পণ্যের ব্যয়বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে সবচেয়ে বেশি। আর মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায়
অনেক ভোক্তা কিছু খাতে ব্যয় একেবারে বন্ধই করে দিয়েছেন। জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্য ও
জার্মানিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন,
মূল্যস্ফীতির পেছনে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। শিগগিরই
মূল্যস্ফীতি কমার কোনো সম্ভাবনাও নেই। বরং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চললে মূল্যস্ফীতি
চলতি মাসে আরেক ধাপ বাড়বে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত।