ডেস্ক রিপোর্ট, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
০২ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১৫
ছবি: সংগৃহীত
দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ২২টি স্টেন্ট বা রিংয়ের
দাম কমানো হয়েছে।
নতুন এ মূল্য তালিকায় হৃদরোগের চিকিৎসায় জরুরি এ উপকরণের
প্রকারভেদে সর্বনিম্ন মূল্য ২০ হাজার ও সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার টাকা বেঁধে দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন
অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে দাম
কমানোর তথ্য জানানো হয়।
অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. সালাহ উদ্দিন, এটা
দাম বাড়ানো-কমানোর ধারাবাহিকতার একটা অংশ। আমরা দীর্ঘ দিন থেকে স্টেন্টের দাম কমানোর
চেষ্টা করছিলাম। এর প্রেক্ষিতেই এটা করা হয়েছে।
এখন থেকে সবাই এই দামে স্টেন্ট বিক্রি করবেন। সবগুলো
হাসপাতালে নতুন এই মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে।
বাংলাদেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন দেশের তৈরি ২৬
ধরনের স্টেন্ট ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। মাস কয়েক আগে তিনটি স্টেন্টের দাম কমানো হয়েছিল,
যেগুলো এখন অপরিবর্তিত রয়েছে।
আর নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী, একটি কোম্পানির স্টেন্টের
দাম আগের চেয়ে সামান্য বেড়েছে।
ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক
ক্রিয়া সচল রাখতে এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে স্টেন্ট বা করোনারি স্টেন্ট পরানো হয়। প্রচলিত
ভাষায় এটি রিং হিসেবে পরিচিত।
এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঔষধ প্রশাসন যখন স্টেন্টের
দাম নির্ধারণ করে দেয় তখন আমদানিকারকদের একটি বড় অংশ নতুন দাম নিয়ে আপত্তি তুলেছিলে
সরবরাহ বন্ধ রেখেছিলেন। বিষয়টি আদালতেও গড়িয়েছিল।
তবে মঙ্গলবার নতুন দাম নির্ধারণের পর এটি নিয়ে খুব
একটা আপত্তি না থাকার কথা বলেছেন মেডিকেল ডিভাইস ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াসিম আহমদ।
তিনি বলেন, ডলার, ইউরোর যা দাম তাতে এখন যে দাম নির্ধারণ
করা হয়েছে তাও কম। এখন যা দাম আছে আমাদের ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের
বলতে হবে দেশের সরকার নিয়ম করেছে, তাদের কাছ থেকে কিছু বেনিফিট নিয়ে… অ্যাডজাস্ট করে আমরা আপাতত সারভাইভ করব।
মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিজপ্তিতে বলা হয়েছে,
অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ও অন্যান্য দেশের হার্টের রিং উৎপাদনকারী
কোম্পানির প্রতিনিধি এবং ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন
কোম্পানির হার্টের রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে।
এসএএল/