সজিব আহমেদ, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
২৪ জুন ২০২২ ১০:২০
প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গতকাল (২৩ জুন)। উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী
রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের এই দিনে রাজপথে হাঁটতে শুরু করে। ভাষা আন্দোলন থেকে
শুরু করে দেশের স্বাধীনতার মতো অনেক বড় বড় অর্জনের ইতিহাস রয়েছে দলটি। আছে ত্যাগের
ইতিহাসও। আর এ ইতিহাসের বড় একটা অধ্যায় হয়ে থাকবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান। বাদ দেওয়ার উপায় নেই তার উত্তরসূরি শেখ হাসিনার নামও।
১৯৪৯ সালের
২৩ জুন ঢাকার স্বামীবাগে কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর উদ্যোগে
আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে গঠন করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। মওলানা আবদুল
হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, টাঙ্গাইলের শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিবুর রহমানকে
(কারাবন্দী ছিলেন) যুগ্মসাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম কমিটি।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগ গণমানুষের দলে পরিণত হয়। আর মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য
ইতিহাসের অনেক ক্রান্তিলগ্নে রাজপথে থাকতে হয়েছে তাদের।
আওয়ামী লীগের
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সম্পাদক মোজাফফর হোসেন (পল্টু) বলেন, এই ৭৩ বছরের চলার পথ অনেক
কন্টকাকীর্ণ, বন্ধুর পথ অতিক্রম করে এ পর্যায়ে এসেছে আওয়ামী লীগ। এই দীর্ঘ সময়ে আওয়ামী
লীগের বড় অর্জনের মধ্যে বাঙালি সত্ত্বাকে জাগ্রত করার বিষয়টি যেমন আছে, তেমনি বাঙালি
জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটানো এবং রাষ্ট্র ভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তাদের কৃতিত্ব
রয়েছে।
মোজাফফর
হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অত্যাচার সহ্য করেছে, জেল-জুলুম সহ্য করেছে, মৃত্যুকে বরণ
করে নিয়ে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের
৭৩ বছরের পথচলা সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু
মজুমদারের মূল্যায়ন হলো, তাদের ‘গোটা কয়েক বড় অর্জন আছে। প্রথমটা অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ।
দ্বিতীয়ত সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন। আর তৃতীয় অর্জনটা হলো, গত ১০-১২ বছরে দারিদ্র
বিমোচনকে একটা লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারা। যদিও এক্ষেত্রে বৈষম্যের কথাটা মাথায় নিলে দারিদ্র
বিমোচনের সাফল্য কিছুটা ফ্যাকাসে মনে হবে। আবার এটাও ঠিক পুঁজিবাদি দুনিয়াতে বৈষম্য
একটা বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন এটা ক্রমাগত বাড়ছে। তবে আওয়ামী লীগের অর্জন
এ ক্ষেত্রে তুলানমূলক ভালো।’
শান্তনু
মজুমদারের ভাষায়, ‘আওয়ামী লীগের আরেকটা বড় অর্জন হলো পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু জিডিপিতে
কী যোগ করবে, যাতায়াত ব্যবস্থায় কী পরিবর্তন আনবে, এটা আমরা জানি। আমার কাছে অন্য একটা
বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিশেষ করে নিজ অর্থে
বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্নের সীমাটা বৈশ্বিক করে তুলেছে। বৈশ্বিকভাবেও
আমরা আমাদের অবস্থান দেখাতে পারছি। এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণকে বৈশ্বিক সক্ষমতা
ও স্বপ্ন দেখতে সহায়তা করবে। এগুলো এই দলের
বড় অর্জন মনে হয়।’
ভাষা
আন্দোলন
ভাষা আন্দোলনে
আওয়ামী লীগের ভূমিকা পর্যালোচনা করতে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম স্বাভাবিকভাবেই
চলে আসে। এই আন্দোলনের জন্য কারাভোগও করেন তিনি। সেই সময় পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে
একাধিকবার গ্রেপ্তার করে। কারান্তরিন থাকা অবস্থায় জেলে বসেই তিনি ভাষা আন্দোলনকে সমর্থন
করেন। ভাষা আন্দোলনে ছাত্রনেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য জেল থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে
বার্তা পাঠাতেন তিনি। এছাড়া ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ভাষা আন্দোলনের আন্তর্জাতিক
স্বীকৃতি আদায়ের দাবিতেও জোরালো ভূমিকা পালন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই
বাংলাদেশ সরকারের তৎপরতায় ১৯৯৯ সালের ১৯ নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর অধিবেশনে
জাতিসংঘের ১৮৮টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের
স্বীকৃতি লাভ করে।
ছয় দফা
ছয় দফা আন্দোলন
বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি
পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ
থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “৬ দফা
দাবি” পেশ করেন। এটাকে ‘ম্যাগনাকার্টা’ বা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদও বলা হয়। পরবর্তীকালে
এই ৬ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতির স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন জোরদার হয়। পাকিস্তানি
শাসক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রৌহিতার অভিযোগ এনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা
দিয়ে জেলে আটকে রেখে প্রহসনের বিচার শুরু করে।
গণঅভ্যুত্থান
সামরিক শাসন,
মৌলিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সকল স্তরে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্যনীতি, পাক-ভারত
যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি ঔদাসীন্যতা, আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন কারণে
১৯৬৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব গণঅভ্যুত্থান ঘটে।
গণঅভ্যুত্থানের
ফলে আইয়ূব খান মুজিবসহ সকল রাজবন্দিদের বিনাশর্তে মুক্তি প্রদান করেন। সেই সাথে আইয়ুব
খানের পতন হয়। পাশাপাশি সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা ও সর্বজনীন ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা পাওয়া
যায় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে।
এদিকে গণঅভ্যুত্থানে
নেতৃত্ব দেওয়ার কারনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা এই অঞ্চলের একক বৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত
করে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিণত হন দলের তথা বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা
হিসেবে। পরবর্তীতে এর ধারাবাহিকতায় ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে নিরঙ্কুশ
বিজয় লাভ করে।
৭০ এর
নির্বাচন
১৯৭০ সালের
৭ ডিসেম্বর অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সারা পাকিস্তানে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনের ফলাফল ছিল অবিশ্বাস্য— পূর্ব পাকিস্তানের ১৬২ আসনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী
লীগ ১৬০টি আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। আর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ৩১৩টি আসনের মধ্যে
পূর্ব পাকিস্তানে সংরক্ষিত আসনসহ আওয়ামী লীগ ১৬৭টি, পশ্চিম পাকিস্তানে জুলফিকার আলী
ভুট্টোর দল পিপল্স পার্টি ৮৮টি এবং অন্যান্য সব দল মিলে পেয়েছে বাকি ৫৮টি আসন। পাকিস্তান
সরকার ফল দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, কোনোভাবেই বাঙালিদের হাতে পাকিস্তানের শাসনভার
তুলে দেওয়া যাবে না।
৭ মার্চের
ভাষণ
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের
৭ মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল
জনসভায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা
করলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
এই ভাষণটি সেদিন দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অকাতরে
প্রাণ দিয়ে দেশকে স্বাধীন করার শক্তি জুগিয়েছিল।
স্বাধীনতার
নেতৃত্ব
পাকিস্তানি
বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ ঘোষণা করেন।
সেই ঘোষণায় তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার আহ্বান জানান। তার
ঘোষণাটি তৎকালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে সারাদেশে
ছড়িয়ে পড়ে। যখন ঘোষণাটি প্রচারিত হয়, তখন মধ্যরাত পার হয়ে ২৬ মার্চ হয়ে গেছে, তাই আমাদের
স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। আর এই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর
সদস্যরা ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে। বাংলাদেশে যখন
স্বাধীনতাযুদ্ধ চলছিল, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি।
বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পরাজিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং
তিনি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন।
দেশ পুনর্গঠন
ফিরে এসেই
বঙ্গবন্ধু দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। ১২ জানুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ
নেন। জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতাকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করে
১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে সংবিধান প্রণীত হয়। মাত্র ১০ মাসের মধ্যে জাতিকে সংবিধান উপহার
দেয় তার সরকার। মাত্র সাড়ে তিন বছর ছিল তার শাসনকাল। এই অল্প সময়ে তিনি বাংলাদেশকে
বিশ্বের স্বীকৃতি এনে দিয়েছিলেন। জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথসহ পৃথিবীর ১২৬টি রাষ্ট্র
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। সদ্য স্বাধীন দেশকে শক্ত ভিক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে জাতি
গঠনসহ সব ধরনের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগের হাত ধরেই।
১৯৭৩ সালের
৭ মার্চ প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী
লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯২ আসনে জয়ী হয়। ন্যাপ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, জাতীয় লীগ পায়
১টি করে আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয় ৫টি আসনে।
পার্বত্য
শান্তিচুক্তি
১৯৯৭ সালের
২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির সঙ্গে পার্বত্য
চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ১৯৯৮
সালের ৬ মে স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন সংশোধন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন
জাতীয় সংসদে পাস হয়।
১৯৯৪ সালের
১৫ অক্টোবর এর কাজ শুরু হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু
সেতু করলে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়।
ছিটমহল
বিনিময়
২০১৫ সালের
৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়। ৬৮ দীর্ঘদিনের
বন্দিত্ব থেকে মুক্ত হয় ভারত ও বাংলাদেশের ১৬২টি ছিটমহলের ৫৫ হাজার মানুষ। বাংলাদেশের
ভেতরে থাকা ভারতের ছিটমহলগুলো বাংলাদেশের ভূমি হিসেবে এবং ভারতের ভেতরকার বাংলাদেশের
ছিটমহলগুলো ভারতের অংশ হিসেবে সরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছিল
ভারতের ১১১টি ছিটমহল।
একাধিক
মেগা প্রজেক্ট
সরকারের
সবচেয়ে অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। নানা
প্রতিকূলতা ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্যেও নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে এই সেতু।
আগামী ২৫ জুন এই সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের
৭৮টি সংসদীয় আসনের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুবিধা পাবেন। পদ্মা সেতুর বাইরে আরও
অনেক মেগা প্রকল্প রয়েছে, যেগুলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সাহস এবং সাফল্য হিসেবেই
দেখা হয়। এর মধ্যে মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা
গভীর সমুদ্রবন্দর ও মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পসহ অন্যতম।
এত সব অর্জনের
পরেও আওয়ামী লীগের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে মনে করেন শান্তুনু মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দলের
ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা, দলের অর্ন্তদ্বন্দ্ব ও ধর্ম নিরপেক্ষতা— এই তিনটা আমার কাছে
আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ মনে হয়। আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম দল হিসেবে যদি এসব
চ্যালেঞ্জ উত্তরণের পথে হাটতে পারে, তাহলে সেটা শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, গোটা দক্ষিণ
এশিয়ার জন্যই ভালো খবর।’
এসএম/আরকে/ডিডি/কেএ