ডেস্ক রিপোর্ট, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
২৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:৫১
ছবি: সংগৃহীত
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে বুধবার (২৩ অক্টোবর) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, মিছিলটি ধানমন্ডি ৩২ হয়ে শুক্রাবাদ-সোবহানবাগ মোড় ঘুরে আবার ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিলে অংশ নেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান জনি, ওয়ালিউল সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, কৃষি সম্পাদক মোহাম্মদ হুসেন, উপ-শিক্ষা সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, বিজ্ঞান বিষয়ক উপ-সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উপ-গণশিক্ষা সম্পাদক মোস্তাকিম হোসেন রিয়াদ, উপ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা ও সাবেক সহ-সম্পাদক লাভলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তামজিদ ভূঁইয়া মেঘ, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শৈশব।
এর আগে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’-এর ধারা ১৮-এর উপ-ধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা এবং ওই আইনের তফসিল ২-এ ছাত্রলীগ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করার কথা বলা হয়।
প্রজ্ঞাপনে স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী শাসনামলে হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রামাণ্য তথ্য এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে বলে বলা হয়। চলতি বছরের ১৫ জুলাই থেকে সশস্ত্র আক্রমণ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।
এদিকে বুধবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা বিবৃতিটি ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করা হয়।
‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান এবং অবৈধ, অসাংবিধানিক, দেশবিরোধী সরকারের পদত্যাগ দাবি’ শিরোনামের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলা ভাষা, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সাম্য ও মানবিক মর্যাদায় যুগে যুগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রয়েছে লড়াকু ইতিহাস।
এসএ/