নিজস্ব প্রতিবেদক, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৩৮
'গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়' নামে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি চায় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট। তারা ইতোমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর কাছে অনুমতির আবেদন করেছে। রাজধানী ঢাকার দিয়াবাড়ির একটি বাড়িকে প্রস্তাবিত এ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ।
ইউজিসিতে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে প্রস্তাবিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থ সহায়তা দানকারী বা প্রদানকারীর ঘরে অর্থের উৎস বলা হয়েছে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের নিজস্ব তহবিল। এই গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ২১৯ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়ে এনবিআর বিরুদ্ধে মামলা লড়ে হেরে গিয়েছিল। গত বছরের ১০ মার্চে ৫৪ কোটি টাকা পরিশোধও করে গ্রামীণ টেলিকম।
গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য হিসেবে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ছোটো ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদও রয়েছেন। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হয়েছেন আশরাফুল হাসান। আবেদনপত্রে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার ঘরে লেখা হয়েছে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্টের নাম।
গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন কোন পর্যায়ে আছে সে বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় কিংবা ইউজিসির কোনো প্রতিনিধি বক্তব্য দিতে রাজি হননি। অনুমোদনের আবেদনপত্রে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগকারী হিসেবে জহিরুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তার ফোনে এবং ইমেইলে মেসেজ দিয়ে এ বিষয়ে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী এনজিও ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হবার পর তিনি সম্পৃক্ত আছেন এমন প্রতিষ্ঠান ও সেগুলোর কর্মকর্তারা নানা সুবিধা পেতে শুরু করে। গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নূর জাহান বেগম বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হন। ইউনূস সেন্টারের পরিচালক লামিয়া মোর্শেদ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় এসডিজির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে নিযুক্ত হন। গত ৩ অক্টোবর গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টের ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধে আদালতের দেওয়া রায় প্রত্যাহার করা হয়। ১২ অক্টোবর আরও ৫ বছরের জন্য গ্রামীণ ব্যাংককে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া, গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ সংশোধনের একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার।