নিজস্ব প্রতিবেদক

বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোর


২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৪



নটরডেমের দুই ছাত্রের শাস্তি, প্রতিবাদ জানালো সিটি কলেজের ছাত্ররা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৪

নটরডেমের দুই ছাত্রের শাস্তি, প্রতিবাদ জানালো সিটি কলেজের ছাত্ররা

ছবি: সংগৃহিত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের পতাকা পোড়ানোয় রাজধানীর নটরডেম কলেজের দুই ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে জানিয়ে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে সিটি কলেজের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার সিটি কলেজের পাশে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পতাকা পোড়ানাে নটরডেমের শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানানো হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে সিটি কলেজের ছাত্ররা নটরডেম কলেজ কর্তৃপক্ষকে আমেরিকার দালাল বলে আখ্যা দেয়।

সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নটরডেমের একদল ছাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের গাজা সংক্রান্ত বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ছাত্ররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের পতাকা পোড়ায়। এতে ক্ষুব্ধ হয় নটরডেম কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা দুইজন শিক্ষার্থীকে দুই সপ্তাহের জন্য বহিষ্কার করে। 

প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্যালেস্টাইনের মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানায়। এসময়ে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের পতাকা পদদলিত করে। 

নটরডেম কলেজের একাধিক সূত্র জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় ৩৩ জন ছাত্রকে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের ছাত্র পরিচালক ফাদার প্রণয় এবং ফাদার ব্রায়ানের বিরুদ্ধে ছাত্ররা অভিযোগ তুলেছেন।

তবে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া দুই শিক্ষাথীর একজন শফি আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ানোর জন্য নয়, কলেজের নীতি বহির্ভূত কাজ করায় দুইজনকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।

নটরডেম এবং সিটি কলেজের একাধিক সূত্র বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানায়. নটরডেম কলেজের চাপে পড়ে শফি আহমেদ ফেসবুকে এই পোস্ট লিখেছেন। মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ানোর কারনেই তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। নটরডেম কলেজ এবং সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ইসলামী উগ্রবাদী সংগঠনে জড়িয়ে পড়েছে। তারাই বিভিন্ন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করে থাকে। এদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে কলেজ প্রশাসন। কারণ কলেজের নীতি বিরুদ্ধ নানা কর্মকাণ্ডে ছাত্ররা জড়িত হচ্ছে কিন্তু সেগুলো ধর্মীয় সংবেদনশীল বিষয় হওয়ার কারনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। কোনো ব্যবস্থা নিলেই কলেজে ইসলামী উগ্রবাদীদের হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।