নিজস্ব প্রতিবেদক
বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোর
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৫
সুনামগঞ্জের মুক্তমনা-প্রগতিশীল আন্দোলনের কবি লেখক ও সাংবাদিকরা হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রতিনিয়ত মব আতঙ্কে আছেন তারা। অনেককে চাকুরিচ্যুতও করা হয়েছে। মামলা দিয়ে পেশাচ্যুত করায় অনেকের পরিবারে আর্থিক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এই মামলায় সুনামগঞ্জের প্রগতিশীল আন্দোলনের কর্মী মুক্তমনা কবি ও সাংবাদিক শামস শামীম (কালের কণ্ঠ), কবি ও সাংবাদিক শাহরিয়ার বিপ্লব (ভোরের কাগজ), সাংবাদিক বিন্দু তালুকদার (আমাদের সময়), কবি ও সাংবাদিক রাসেল আহমদ (ভোরের কাগজৃ) সাংবাদিক সামিয়ান তাজুলকে(ভোরের পাতা) আসামি করা হয়। পরবর্তীতে আরো দুটো মামলায় জামালগঞ্জের সাংবাদিক আকবর হোসেন (দৌনিক নংবাদ)ও শাল্লা উপজেলার সাংবাদিক পিসি দাস পিযুষকেও (কালবেলা) আসামি করা হয়। সস্প্রতি তাহিরপুরের সাংবাদিক হাবিব সরোয়ার আজাদ (যুগান্তর) তার পুত্র আলোকচিত্র সাংবাদিক শিপু সারোয়ারকেও আসামি করা হয়।
কবি ও সাংবাদিক শামস শামীম সুনামগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করেছেন। কবিতা, গবেষণাসহ তার একাধিক গ্রন্থ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, প্রগতিশীলতা নিয়ে লেখালেখির কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর রোষানলে আছেন। এ কারণেই তাকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে মনে করেন সংস্কৃতিকর্মীরা।
এদিকে এই মামলার একাধিক স্বাক্ষী আদালতে হলফনামা করে বলেছেন তারা ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না এবং সাংবাদিকরা এ ঘটনায় জড়িত নন। পরবর্তীতে বাদীও আদালতে হলফনামা দিয়ে মামলা চালাতে চাননা বলেও জানিয়েছেন।
কবি ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার ঘটনায় বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব ও সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি। জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় লেখক সাংবাদিকদের হয়রানিমূলক মামলায় আসামি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
এসব ঘটনার পরও মিথ্যা মামলায় কবি সাংবাদিকদের হয়রানি করায় ক্ষুব্দ স্থানীয় সুধীজন। তারা অবিলম্বে সরকারকে লেখক সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রদানসহ তাদেরকে হয়রানি না কনার আহ্বান জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকজন লেখক সাংবাদিকও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হামলায় আসামি হয়েছেন। তদন্ত করে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।