কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোর


০৬ মার্চ ২০২৫ ০১:৩১



পদ পেয়েই কৃষকদল নেতাকে পেটালেন বিএনপি নেতা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর

০৬ মার্চ ২০২৫ ০১:৩১

পদ পেয়েই কৃষকদল নেতাকে পেটালেন বিএনপি নেতা

ছবি: সংগৃহিত

আহ্বায়ক পদ পাওয়ার পরপরই ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিবকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রৌমারী উপজেলা বিএনপির সদ্যগঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চত্বরে রৌমারী সদর ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিবকে প্রকাশ্য মারধর করা হয়। ভূক্তভোগীর নামও আব্দুর রাজ্জাক।

গত ৪ মার্চ, মঙ্গলবার রাতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা হয়। পরদিনই কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে মারধর করেন। তবে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি কোনও মারপিট করিনি।’

মারধরের শিকার কৃষকদল নেতা আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, ‘মঙ্গলবার রাতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করার পর ওই কমিটির সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেই। পোস্টটি বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাকের পছন্দ হয়নি। তিনি এতে ক্ষিপ্ত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আমার দেখা পেয়ে তিনি আকস্মিক আমার ওপর তেড়ে আসেন। কেন ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি তা জানতে চেয়ে আমাকে কিলঘুষি মারেন। তার সঙ্গের লোকজনও আমাকে পেটায়।’

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার সাথে থাকা উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আবুল হাসেম আমাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে উপস্থিত লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। কিন্তু হাসপাতালে গেলেও সেখানে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকে চিকিৎসা নিতে দেয়নি।’ যোগ করেন কৃষকদলের ভুক্তভোগী এই নেতা।

উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আবুল হাসেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে উপজেলা বিএনপির নব নির্বাচিত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যানের সাথে কৃষকদলের সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকের বাকবিতন্ডা হয়। এসময় বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক কৃষকদলের রাজ্জাককে ঘুষি মারেন। পরে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। আমিও অনাকাক্সিক্ষত ওই ঘটনায় সরে আসি। দোষ যারই হোক, আজ যা হয়েছে তা মোটেও ঠিক হয়নি।’

কৃষকদল নেতাকে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নাউজুবিল্লাহ! মারধর করবো কেন! সেতো আমার ভাগিনা হয়। একই এলাকায় বাড়ি। আমাকে নিয়ে ফেসবুকে উদ্ভট কথাবার্তা লিখেছে। আমি আইজ দেখা পেয়ে পোস্ট ডিলিট করতে বলি। সে আমাকে উল্টা আইনের আশ্রয় নিতে বলে। আমি বলি আইনের আশ্রয় কেন নিব? তুমি ডিলিট করলেই তো হয়ে যায়। এসব লিখ কেন, আমার সম্পর্কে তুমি জানো না?’

কৃষকদল নেতার দাবির প্রশ্নে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘শতশত মানুষ ছিল। সবাই দেখছে। আমি মারি নাই তো। শুধু কথা কাটাকাটি হইছে।’

সর্বাধিক পঠিত