কনটেন্ট ক্রিয়েটর

বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোর


১১ মে ২০২২ ০৩:১০



পানির হাহাকারে পড়বে ৮০ শতাংশ ফসলি জমি, বলছে গবেষণা

কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর

১১ মে ২০২২ ০৩:১০

পানির হাহাকারে পড়বে ৮০ শতাংশ ফসলি জমি, বলছে গবেষণা

প্রতীকী ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই বিশ্বের ৮০ শতাংশের বেশি ফসলি জমি চরম পানি স্বল্পতার মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। ২০৫০ সালে গিয়ে চাষাবাদের জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকবে কি না, মূলত সেটি পরিমাপ করার জন্যই বিজ্ঞানীরা এ গবেষণা করেছেন। বর্তমান ও ভবিষ্যতে ফসলি জমির জন্য কী পরিমাণ পানির দরকার হবে, তাও জানার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা।

গবেষণাটি করেছেন চীনের ‘চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্স’ এর একদল গবেষক। তাদের গবেষণাপ্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে ‘আর্থ ফিউচার’ সাময়িকীতে। গবেষণায় তারা আবাদি জমির এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ও আশপাশে থাকা বিভিন্ন উৎসে কী পরিমাণ পানি আছে, তা হিসাব করে দেখেছেন। এরপর একটি সূচক তৈরি করেন বিজ্ঞানীরা। সেই সূচক ধরে তারা বলছেন, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৮০ শতাংশ ফসলি জমি চাষাবাদের জন্য পানি স্বল্পতায় ভুগবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, গত ১০০ বছরে জনসংখ্যা যে গতিতে বেড়েছে, পানির চাহিদা বেড়েছে তার চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি পানি সংকটে পড়বে, সেসব দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রও আছে। সবচেয়ে হুমকিতে আছে দেশটির পশ্চিমাঞ্চল। কারণ ওই অঞ্চলের বেশির ভাগ আবাদি জমি ‘কলোরাডো’ নদীর অববাহিকার পানির ওপর নির্ভরশীল, যেখানে পানির প্রবাহ কয়েক বছর ধরেই কমছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, খরা মোকাবেলায় তারা ‘পাওয়েল’ হ্রদে কয়েক হাজার কোটি গ্যালন পানি মজুদ করে রেখেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কৃষির কলাকৌশলে পরিবর্তন এনে ফসলি জমিতে পানি ধরে রাখা গেলে সংকট কিছুটা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এরই মধ্যে প্রায় সব উপমহাদেশে আবাদি জমিতে পানির সংকট তৈরি হয়েছে এবং এই সংকট চলতে থাকলে বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ে যাবে।

‘চাইনিজ একাডেমির অব সায়েন্সের’ সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষকদলের প্রধান জিংকাই  লিউ বলেন, ‘নীল ও সবুজ পানির উৎস ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় সামনের দিনগুলোতে কৃষি উৎপাদনকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।’

সূত্র : ডেইলি মেইল

ইউএইচ/