মৌলভীবাজার সংবাদদাতা

বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোর


১১ অক্টোবর ২০২২ ০৭:২১



কমলগঞ্জের ৫ গ্রাম এখনও বিদ্যুৎহীন

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর

১১ অক্টোবর ২০২২ ০৭:২১

কমলগঞ্জের ৫ গ্রাম এখনও বিদ্যুৎহীন

ছবি- মৌলভীবাজার সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এই উপজেলার সীমান্তবর্তী পাঁচ গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবার এখনও বিদ্যুৎহীন। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বলছে, বনবিভাগের আপত্তির কারণে এসব গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না।  করা যাচ্ছে না বলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে। গ্রামবাসীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

গ্রামগুলো হলো কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের কালেঞ্জি খাসিয়া পুঞ্জি, কুরুঞ্জি এলাকা, কোনাগাঁও এলাকা, কুরমা পুঞ্জি ও তৈলঙ্গছড়ার ত্রীপুরা।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গ্রামগুলো বন বিভাগের আওতাধীন হওয়ার কারণে বিদ্যুতের লাইন স্থাপনের জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। শুধু বিদ্যুৎ নয় বন বিভাগের সংরক্ষিত এলাকায় যে কোনও ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করতে হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তিপত্র আনতে হবে।

কালেঞ্জি খাসিয়া পুঞ্জি ও কুরুঞ্জি এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হয়নি অথচ অনেক আগেই মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এই উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের ঘোষণা দিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে এখানকার নলকূপগুলোতে পানি থাকে না। ওই সময় তাদের অনেক দূর থেকে খাবারের পানি সংগ্রহ করতে হয়। বিদ্যুতের অভাবে বাচ্চারা ঠিক মতো পড়ালেখা করতে পারছে না। অন্যদিকে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনেও সমস্যা হচ্ছে। তাদের গ্রামগুলো বিদ্যুতের আওতায় আসলে এই সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান হতো।’

সিলেট আদিবাসী ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মন্ত্রী জিডিসন প্রধান সুচিয়ান বলেন, ‘চার বছর ধরে বিদ্যুতের দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু কেউ আমাদের কথা শোনে না। বনের অন্য পুঞ্জিগুলোয় বিদ্যুৎ দেওয়ার সময় কোনো সমস্যা হয়নি। শুধু আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়ার সময় বন বিভাগের যতো সমস্যা।’

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম মীর গোলাম ফারুক বলেন, ‘কালেঞ্জি খাসিয়া পুঞ্জিসহ অন্য পুঞ্জগুলো আমরা বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে চাই। কিন্তু বন বিভাগের ছাড়পত্র না থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না।’

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ‘বন বিভাগের অনুমোদন না থাকায় এসব গ্রামে বিদ্যুৎ নেই।’

বিভাগীয় বন-কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খাসিয়া পুঞ্জির বাসিন্দারা যদি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি আনতে পারেন, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’

জেবি/