ডেস্ক রিপোর্ট, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৪৬
ছবি: সংগৃহীত
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। যারা পুলিশের
লুণ্ঠিত অস্ত্র জমা দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান
শুরু হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলেনর
মধ্যে পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার, যেসব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে কিন্তু
জমা দেওয়া হয়নি— এমন অস্ত্র জব্দ এবং
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ এর কারবারি ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে। বিশেষ করে গণ-আন্দোলনে রূপ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অস্ত্র যাদের
হাতে দেখা গেছে, অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনী ও নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করেছেন এবং অস্ত্র
মামলার আসামিদের ধরা হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যৌথ অভিযানে রয়েছে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা
বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও র্যাব।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে,
অস্ত্র দেওয়া সংক্রান্ত জারিকৃত নির্দেশনার মধ্যে বিভিন্ন থানা থেকে লুটপাট করা অস্ত্র
যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বৈধ অস্ত্রও। গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের
লাইসেন্স স্থগিত করেছে সরকার। মঙ্গলবার ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন।
গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের
লাইসেন্স স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায়
জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত
স্থানে আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দিলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে
আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএএল/