কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
১৪ মে ২০২২ ০৭:২২
আগামীকাল রোববার বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে মঞ্চায়িত হবে নাট্যম রেপার্টরী’র নাটক ‘কোথায় জলে মরাল চলে।’ নাটকটি সন্ধ্যা ৭ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হবে। ভারতীয় সাহিত্যিক মোহন রাকেশ রচিত ‘লেহরো কা রাজহংস’ অবলম্বনে নাটকটি অনুবাদ করেছেন অংশুমান ভৌমিক। নির্দেশনা দিয়েছেন ড. আইরিন পারভীন লোপা।
রাজকীয় বিলাস-বৈভব গৌতম বুদ্ধের মনকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। মানবজীবনের হতাশা, দুঃখ, জরা-ব্যাধির চিন্তা তাকে আকুল করে তোলে। তিনি সংসার সম্পর্কে ক্রমেই উদাসীন হয়ে পড়েন। যশোধরা নামে এক রাজকন্যার সঙ্গে গৌতম বুদ্ধের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে দুঃখ, জরা-ব্যাধি এবং মৃত্যুর বিষয়গুলি গৌতম বুদ্ধকে খুব ভাবিয়ে তোলে। বৌদ্ধধর্মে এই তিনটি বিষয়কে ‘ত্রিতাপ’ বলে। মানবজীবন থেকে ‘ত্রিতাপের যন্ত্রণা’ মোচনের জন্য তিনি উদ্গ্রীব হয়ে ওঠেন। ২৯ বছর বয়সে গৌতম সংসারের মায়ার বন্ধন, রাজকীয় ঐশ্বর্য, পুত্র রাহুল ও স্ত্রী যশোধরাকে ত্যাগ করে একদিন গভীর রাতে গোপনে গৃহত্যাগ করেন। ১২ বছর সাধনার পর তিনি নির্বাণ লাভ করেন।
বহুদিন পর স্বভূমিতে ফিরে এসেছেন গৌতম বুদ্ধ। তাঁকে একবার চোখে দেখার জন্য কপিলাবস্তু উদ্বেল। তাঁর কাছে দীক্ষা নেবার জন্য অধীর শতসহস্র অনুগামী। রাজপ্রাসাদে দেবী যশোধরাও অধীর। কাল তিনিও দীক্ষা নেবেন। ওদিকে রাজকুমার নন্দর ভবনে অন্য হাওয়া বইছে। নন্দ নিজে বুদ্ধের সান্নিধ্য পেতে চাইলেও তাঁর স্ত্রী সুন্দরীর এর ব্যাপারে কোনো আকর্ষণ নেই। এই পরিস্থিতিতে স্বামী নন্দর ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ একটুও শিথিল হতে দেবেন না তিনি। সুন্দরীর তীব্র আগ্রহে আজ রাতে কামোৎসবের আয়োজন হয়েছে নন্দর ভবনে। কপিলাবস্তুর অভিজাত সম্প্রদায় সেখানে আমন্ত্রিত। সুন্দরীর তত্ত্বাবধানে সেজে উঠছে চারদিক। ভবনকে নৃত্যগীতের উপযোগী মঞ্চ করে তুলতে, সুরাপানের অনুকূল পরিমণ্ডল রচনা করতে কোনো কার্পণ্য করছেন না সুন্দরী। তবু কমল সরোবরের রাজহাঁসেরা এত চঞ্চল হয়ে উঠছে কেন তার থই মিলছে না। আগামীকাল মঞ্চায়ন হতে যাওয়া নাট্যম রেপার্টরীর ‘কোথায় জলে মরাল চলে’ নাটকটিতে এ বিষয়গুলোই মূল উপজীব্য।
নাট্যম রেপার্টরীর কর্মী ও অভিনয় শিল্পী শুভাশীষ দত্ত তন্ময় বেঙ্গল নিউজকে জানান, বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে এটি নাট্যম রেপার্টরীর বিশেষ প্রদর্শনী। নাটকটি নাট্যম রেপার্টরীর ৭ম প্রযোজনা এবং ৪র্থ মঞ্চায়ন।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন: শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, সংগীতা চৌধুরী, খুরশীদ আলম, ফখরুজ্জামান, শাকিল আহমেদ, শিমুল সাইফুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, তাহমিনা খাতুন, পরী’সহ অনেকেই।
নেপথ্যের কলাকুশলীরা হলেন: সেট- অসীম দাস, আবওহ সংগীত- শেখ জসিম, আলো- মোঃ বজলুর রহমান, পোষাক পরিকল্পনা- ড. আইরিন পারভীন লোপা, অংঙ্গরচনা পরিকল্পনা- শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, প্রপ্স- শরিফুল ইসলাম মামুন।
আরকে