ডেস্ক রিপোর্ট, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
০৪ জুন ২০২৪ ১০:৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহ
সদর উপজেলার সুতিয়া নদীতে মনতলা সেতুর নিচে পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ওমর ফারুক সৌরভের
খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আপন চাচা ও ইসরাত জাহান ইভার বাবা ইলিয়াস আলীসহ তিনজনকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানায় ময়মনসিংহ
জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁইয়া।
গ্রেপ্তার
হওয়া তিনজন হলেন- ইলিয়াস আলী (৫৫), ইলিয়াসের শ্যালক ফারুক (৩০) ও প্রাইভেট কারচালক
হান্নান (৬৫)।
পুলিশ
সুপার বলেন, চাচা ইলিয়াস আলীর মেয়ে ইভার সঙ্গে প্রেম ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
সৌরভের। কিন্তু ইভা ৩ বছর আগেও বিয়ে করেন কানাডাপ্রবাসী আব্রাহাম নামের এক ব্যক্তিকে।
আব্রাহামের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টিও মেনে নিতে পারেননি ইভার বাবা ইলিয়াস। তবে সেই স্বামীকে
ডিভোর্স না দিয়ে চাচাতো ভাই সৌরভকে আবারও বিয়ে করেন ইভা। কিছু দিন আগে ঢাকায় গোপনে
বিয়ে করেন ইভা ও সৌরভ। আর এই বিয়ের পরেই প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয় ইভার পরিবার।
পুলিশ
সুপার আরও বলেন, বিয়ের পর সৌরভের উদ্দেশ্যে ছিল কানাডাপ্রবাসী আব্রাহামের বাবাকে তাদের
বিয়ের বিষয়টি জানানো। সেজন্য সৌরভ ময়মনসিংহ শহরে যান। তবে ময়মনসিংহে সৌরভের আসার বিষয়টি
জানতে পারেন তার চাচা ইলিয়াস। পরে ময়মনসিংহ নগরীর গোহাইলকান্দির ভাড়া বাসায় সৌরভকে
ডেকে নিয়ে আসেন চাচাত ভাই মৃদুল। সৌরভ বাসায় প্রবেশ করা মাত্রই পেছন থেকে চাকু দিয়ে
মাথায় আঘাত করে চাচা ইলিয়াস এবং তার শ্যালক ফারুক। এতেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু সৌরভের।
পরে মরদেহটি নিয়ে রাখা হয় গোসলখানা। সেখানে চাপাতি দিয়ে ৪ টুকরো করা হয় সৌরভের লাশ।
ফিঙ্গার প্রিন্ট নষ্ট করা হয়, যাতে হত্যার আলামত না থাকে। এমনকি হত্যা ও লাশ টুকরো
করার সময় ব্যবহার করা হয় হ্যান্ড গ্লাভস। পরে টুকরো করা মরদেহ লাগেজে রাখ হয়। সেদিন
রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে এনে মরদেহ ভর্তি লাগেজ ফেলে দেওয়া
হয় মনতলা সেতুর নিচে। রোববার সকালে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা ডিবি পুলিশ ও
কোতোয়ালি থানা-পুলিশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ
সুপার আরও বলেন, এর আগে, নগরীর একটি দোকান থেকে লাগেজ কিনে আনেন ইলিয়াস ও তার শ্যালক।
লাগেজটি কোন দোকান থেকে কেনা হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে নগরীর
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে একটি দোকানের ফুটেজে
দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া লাগেজটি কেনেন ইলিয়াস এবং ফারুক।
এমএইচ/