কনটেন্ট ক্রিয়েটর

বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোর


২০ মে ২০২২ ০৪:১৪



রাশিয়া থেকে কর্মী সরিয়ে নিচ্ছে গুগল

কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর

২০ মে ২০২২ ০৪:১৪

রাশিয়া থেকে কর্মী সরিয়ে নিচ্ছে গুগল

প্রতীকী ছবি

রাশিয়ায় গুগলের সব একাউন্ট বাজেয়াপ্ত হওয়ায় চরম সংকটে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে দেশটিতে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে নোটিশ দিয়েছে গুগল। গত বুধবার রাশিয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক নথিতে তা প্রকাশিত হয়।

গুগল জানিয়েছে, রুশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে কর্মীদের বেতনও দিতে পারছে না সংস্থাটি। এরই মধ্যে তাদের বেশির ভাগ কর্মীকে রাশিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনেকেই ধারণা করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে রাশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সার্চ ও প্রযুক্তি জায়ান্টের বাণিজ্যিক উপস্থিতির সমাপ্তি ঘটতে পারে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করে গুগলসহ বেশকিছু সংস্থা। এই বিরোধিতার অংশ হিসেবে তারা রাশিয়ায় সেবা বন্ধ করে দিয়ে রুশ সরকারে ওপর চাপ সৃষ্টির পদক্ষেপ নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাসখানেক ধরেই রুশ সরকার গুগলের উপর উল্টো চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। গত বছরের মে মাসেও গুগলকে ৮২ হাজার ডলার জরিমানা করেছিল রাশিয়া। গুগলকে সেসময় সরকারবিরোধী বিষয়গুলো মুছে ফেলতে সাবধান করেছিল রাশিয়া। কিন্তু গুগল তা না করায় জরিমানার মুখে পড়ে।  এরই ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের মার্চ মাসে রাশিয়ার আদালত গুগলের সমস্ত ব্যাংক একাউন্ট বাজেয়াপ্তের নিদের্শ দেয়।

এর আগে ২০১৪ সালে অনলাইনে বাকস্বাধীনতার ওপর মস্কোর ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গুগল রাশিয়ায় নিজেদের প্রকৌশল অফিস বন্ধ করে দেয়। তবে মস্কোর কার্যালয় থেকে গুগল বিজ্ঞাপন বিক্রি ও পণ্য  বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া চলমান রেখেছিলো। এখন সেটিরও আর সুযোগ থাকল না।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে রাশিয়ায় কর্মরত গুগলের বেশির ভাগ কর্মী অন্য কোথাও কাজ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের একটি বড় অংশ দুবাইয়ে যেতে পারেন, যেখানে রয়েছে গুগলের আরেকটি বড় কাযার্লয়। আবার কিছু কর্মী গুগল ছেড়ে রাশিয়াতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে গুগল জানিয়েছে, রাশিয়াতে কাযার্লয় বন্ধ করলেও গুগল সার্চ, জিমেইল, গুগল ম্যাপ, গুগল প্লে স্টোর ও ইউটিউবের মতো পরিসেবা বিনামূল্যে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য এতকিছু বন্ধের পরও রাশিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল এখনো বন্ধ করে দেয়নি পুতিন প্রশাসন। সুত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট।

জেডএস/এএল