সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী ছিল বুধবার (৫ অক্টোবর)। ওই দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের শারদীয় উৎসব শেষ হলো। দশমী উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ছিল।

এরপর শুক্র ও শনিবার দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি এবং রবিবার (৯ অক্টোবর) ঈদে মিলাদুন্নবির ছুটি। শুধু বৃহস্পতিবার ( ৬ অক্টোবর) কোনো ছুটি না থাকলেও অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে নিয়েছে। যার ফলে উপভোগ করতে পারছে পাঁচ দিনের লম্বা ছুটি। ছুটি কাটাতে প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে শহর ছেড়েছে হাজারো মানুষ।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীতে নেই গাড়ির চাপ ও যানজট। গণপরিবহনের শ্রমিকরা অনেকটা ছুটি কাটাচ্ছে। কারণ সড়কে গাড়ির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। অল্প বিস্তর যা চলাচল করছে সেগুলোর অধিকাংশ আসনই ফাঁকা। শহরের ট্রাফিক পুলিশরাও তাই কিছুটা স্বস্তিতে কাজ করছেন।

মিরপুর থেকে মতিঝিলগামী বাস বিহঙ্গের চালক ওসমান বলেন, ‘রাস্তায় দুপুর পর্যন্ত তেমন কোনো যাত্রী ছিল না। বিকেলের পর কিছু যাত্রী উঠেছে।’

বেশিরভাগ রিকশাচালকই যাত্রী না থাকার কথা জানিয়ে।

তবে অনেক যাত্রী আবার জানাচ্ছে ভিন্ন কথা। লালমাটিয়া থেকে পান্থপথে নিয়মিত রিকশায় যাতায়াত করা সাবিনা জাহান জানান, এই পথে প্রতিদিন আমি যাতায়াত করি। রিকশা ভাড়া আসে ৭০-৮০ টাকা। কিন্তু আজ ১০০ টাকার নিচে কোনো রিকশাই আসতে চাচ্ছিল না। তাদের কথা আজ তেমন ইনকাম হয়নি। যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বেশি ভাড়ায় যেতে হবে।

প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের সদস্য আনোয়ার হোসেন বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘নগরেরও মাঝে মাঝে ছুটির প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে বিশ্বের সবচেয়ে ঘন বসতির শহর ঢাকা বিপর্যস্ত নগরীতে পরিণত হয়েছে অনেক  আগেই। এ ধরনের ছুটি নগরবাসীকে যেমন একটু ফুরসত দেয় উপভোগের তেমনি ব্যস্ত মহানগরও সুযোগ পায় দম ফেলার।’

এসবি/ জেবি