কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
২৯ এপ্রিল ২০২২ ০৩:২৮
বিশুদ্ধ পানির বাইরে পৃথিবীর মানুষ মনে হয় দুবেলা খাবার নিশ্চিত
করা নিয়েই বেশি উদ্বেগে থাকে। মূলত এই উদ্বেগের কারণেই কৃষি হয়ে উঠেছে পৃথিবীর
সবচেয়ে বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ খাত। কৃষিতে উৎপাদনের সক্ষমতা কেবল একটি দেশের
বাণিজ্যিক ভারসাম্যের জন্যই জরুরি নয়, অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিও
এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশ্বে এমন অনেক দেশ আছে, কৃষিই যাদের অর্থনীতির মূল
ভিত্তি; এসব দেশের বিদেশি মুদ্রার বড় একটা অংশও আসে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে। এ ধরনের
কয়েকটি দেশ নিয়েই এ আয়োজন-
কৃষিপণ্য
উৎপাদনে শীর্ষ দেশসমুহ
যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও রাশিয়া বরাবরই খাদ্য ও শাকসবজি উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে। এর মধ্যে ধান উৎপাদনের নেতৃত্বে আছে চীন। শুধু তা-ই নয়, গম উৎপাদনেও বিশ্বের মধ্যে চীনের অবস্থান সবার ওপরে। ভুট্টা উৎপাদনে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। পেঁয়াজ ও বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির সর্বোচ্চ উৎপাদনকারীও তারা। মোট গম উৎপাদনের মানদণ্ডে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান চতুর্থ। ভুট্টা ও সয়াবিন উৎপাদনে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দেশটি। যাই হোক, এখানে নানা ধরনের ফসল রয়েছে। আফ্রিকা ও এশিয়ার একটি প্রধান খাদ্যশস্য হলো ‘মিলেট’ (ভুট্টা জাতীয় শস্য)। এই খাদ্যশস্যের প্রধান উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও নাইজেরিয়া।
শীর্ষস্থানীয়
রপ্তানিকারক দেশ
সর্বোচ্চ
কৃষিপণ্য উৎপাদনের তালিকায় চীন ও ভারতের মতো দেশগুলোর নাম সবার উপরে থাকা মোটেও অবাক
হওয়ার মতো কিছু নয়। কারণ হলো, মানুষ কিংবা জমি, সবই তাদের পর্যাপ্ত রয়েছে। এর মধ্যে
ভারত অনেক ফসল উৎপাদন করলেও খুব একটা রপ্তানি করতে পারে না। কারণ, অভ্যন্তরীণ চাহিদা
মেটাতে তাদের অনেক ফসলের দরকার হয়। আবার অনেক দেশ তুলনামূলক কম উৎপাদন করলেও জনসংখ্যা
কম হওয়ার কারণে অনেক পণ্য রপ্তানি করতে পারে। ফলে সর্বোচ্চ উৎপাদন করলেই যে একটি দেশ
রপ্তানিতে শীর্ষে থাকবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।