নিজস্ব প্রতিবেদক

বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোর


২৩ মে ২০২২ ০১:৩৭



দার্জিলিং জাতের কমলায় আশার আলো

নিজস্ব প্রতিবেদক, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর

২৩ মে ২০২২ ০১:৩৭

দার্জিলিং জাতের কমলায় আশার আলো

বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে বিভিন্ন জাতের কমলা চাষ হলেও আশানুরুপ ফল পাচ্ছিলেন না চাষীরা। এরইমধ্যে দার্জিলিং জাতে সাফল্য ধরা দিয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েলের বাগানে। জানিয়েছেন, জাতটি চাষ করে তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন।

জুয়েলের বাগান গড়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মালঞ্চ গ্রামে। তিনি জানিয়েছেন, বছর দশেক আগে হর্টিকালচার থেকে তিনি কিছু চারা কিনে রোপণ করেন। দু’বছরের মাথায় আশানুরূপ ফল হওয়ায় তিনি বাগানের পরিধি বাড়ান। এখন তার বাগানে ৩০০ কমলা গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে কমলা ধরছে ৮০০ থেকে ৯০০টি। এ বছর তিনি অন্তত ২৫০ মণ কমলা উৎপাদনের আশা রাখছেন।

জুয়েল বলছিলেন, আগের বছর সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার কমলা বিক্রি হলেও এবার তিনি ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার কমলা বিক্রির আশা করছেন।

বাগানের বয়স ১০ বছর হলেও গেল তিন বছর ধরে বেশ ভালো ফলনের দেখা মিলছে জানিয়ে তিনি বলেন, উৎপাদিত এসব ফল স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে পাঠানো হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। কমলা কিনতে বাগানেই ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য বলছে, জেলায় ৭৩ হেক্টর জমিতে মাল্টা ও কমলার ১০৩২ টি বাগান রয়েছে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী উপজেলার পীরগঞ্জ ও হরিপুরে ভারতীয় দার্জিলিং জাতের সাতটি কমলা বাগান গড়ে উঠেছে।

অবশ্য অনেকেই কমলার বাগান গড়ে তুললেও জুয়েল ছাড়া অন্যরা তেমন সাফল্য দেখাতে পারেননি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন, ‘সরকার বছর দশেক আগে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। আর তখন থেকেই ঠাকুরগাঁয়ে কমলা চাষ শুরু হয়। কৃষক জুয়েল কৃষি দপ্তর থেকে সব সময় পরামর্শ নিয়েছেন। তার দার্জিলিং জাতের এই বাগানটি বেশ সুন্দর হয়েছে এবং বাগানে প্রচুর পরিমাণে ফলন ধরেছে। তার বাগান দেখে অনেকেই বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করছে।’ 


ইউএইচ/এমআর