ডেস্ক রিপোর্ট, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৩২
কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় এই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
মহাখালীর এক বাসায় হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে। তারপর লাশ বস্তাবন্দী করে রিকশাযোগে রাতে হাতিরঝিলে ফেলা হয়।
রোববার রবিন
ও রাব্বি মৃধা নামের দুই যুবক ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দিয়ে এসব কথা জানান।
রবিন ও রাব্বিকে
দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তারা জবানবন্দি দেন বলে আদালত সূত্রে
জানা গেছে।
অবশ্য রিমান্ডে
থাকা অবস্থায় পুলিশের কাছে তারা যে তথ্য দিয়েছেন, সেই তথ্যের সূত্র ধরে রোববার হাতিরঝিল
থেকে লাশ তোলা হয়।
ওই কিশোরী
নিখোঁজ হয় গত ১৬ জানুয়ারি। মা-বাবার কাছে কেনাকাটার কথা বলে বাইরে বেরিয়েছিল সে। পরে
আর বাসায় ফেরেনি। পরে ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ জানুয়ারি একটি মামলা করেন তিনি। এরপর কিশোরীটির মোবাইল ফোন নম্বরের
সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
করে রাব্বি মৃধা নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুজনকে গ্রেপ্তারের
পর দুদিন রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
একটি নির্ভরযোগ্য
সূত্রে জানা গেছে, রবিন আদালতে স্বীকার করেছেন, কিশোরীটিকে ‘ফাঁদে ফেলে’ সেদিন দুপুরে
মহাখালীর একটি বাসায় নিয়ে যান তারা। এরপর তার হাত পা বেঁধে ফেলেন। মুখ কাপড় দিয়ে
বেঁধে দেন। তারপর পাঁচজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে কিশোরীটি অচেতন হয়ে পড়ে।
পরে সে মারা গেলে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করা হয়। কিশোরীটিকে হত্যা করার পর মরদেহ বস্তাবন্দী
করা হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দিন মধ্যরাতেই মহাখালী থেকে রিকশায় করে মরদেহ হাতিরঝিলের
পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে আসেন অভিযুক্তরা। মরদেহটি সেতু থেকে হাতিরঝিলে ফেলে
দেন তারা।
/এসবি